Table of Contents

রোযা: নিয়্যত, দোয়া, নামায ও বিভিন্ন মাসআলা
মাহে রমজান
শাবান মাসের পর আসে মাহে রমযান। পবিত্র রমযান এক মাসের রোযা রাখা প্রত্যেক বালেগ-আক্কেল মুসলমানের উপর ফরয। কেউ শরীয়ত সম্মত কারণে রোযা রাখতে অপারগ হলে প্রত্যেক রোযার জন্য ‘ফিদিয়া’ দিতে হয়। রোযা পালনের জন্য নিয়্যত করতে হয়। সারাদিন রোযা পালনের পর সূর্যাস্তের সাথে সাথে ইফতার করতে হয়। সুতরাং রোযা ও ইফতারের নিয়্যত নিম্নে প্রদত্ত হলঃ
রোযার নিয়্যত:
نَوَيْتُ أَنْ أَصُومَ غَدًا مِّنْ شَهْرٍ رَمَضَانَ الْمُبَارَكِ فَرْضًا لَّكَ يَا الله فَتَقَبَّلُ مِنِّي إِنَّكَ أَنتَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ –
উচ্চারণঃ নাওয়াইতু আন্ আসূ-মা গাদাম্ মিন শাহরি রামাদ্বা-নাল মুবারাক; ফারদ্বাল্ লাকা ইয়া-আল্লা-হ, ফাতাক্বাব্বাল মিন্নী- ইন্নাকা আনতাস সামী ‘উল ‘আলী-ম।
অর্থঃ আমি আগামীকাল পবিত্র রমযান মাসের ফরয রোযা রাখার নিয়্যত করলাম। হে আল্লাহ! তুমি এটা আমার নিকট থেকে কবুল কর; নিশ্চয় তুমি শ্রোতা, জ্ঞাতা। আর যদি পরদিন দ্বি-প্রহরের পূর্বে নিয়্যত করা হয়, তবে ‘আসুমা’ শব্দের পরে ‘গদাম’ শব্দটি না বলে ‘আল্ ইয়াওমা’ বলবেন। এ শব্দের অর্থ ‘আজ’।
ইফতারের নিয়্যত:
اللَّهُمَّ لَكَ صُمْتُ وَعَلَيْكَ تَوَكَّلْتُ وَعَلَى رِزْقِكَ أَفْطَرْتُ بِرَحْمَتِكَ يَا أَرْحَمَ الرَّحِمِينَ
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা লাকা সুমতু ওয়া’আলায়কা তাওয়াক্কালতু ওয়া’আলা-রিয্ক্বিকা আফতারতু বিরাহমাতিকা ইয়া-আর হামার রা-হিমী-ন।
অর্থঃ হে আল্লাহ! তোমারই (সন্তুষ্টির) জন্য আমি রোযা রেখেছি তোমার উপরই ভরসা করেছি এবং তোমারই রিয্ক্বির উপর ইফতার করছি, তোমার দয়া সহকারে, হে সর্বাধিক দয়ালু।