ব্যাকরণ : প্রত্যয়

প্রত্যয় প্রত্যয় কাকে বলে ও কী কী?  ধাতুর সাথে যা যোগ করে শব্দ কিংবা কালরূপ এবং শব্দে যা যোগ করে অন্য শব্দ কিংবা ধাতু হয়, সেগুলোকে প্রত্যয় বলে। প্রত্যয় ২ প্রকার। যথা—  (১) ধাতু প্রত্যয় বা কৃৎ–প্রত্যয় (২) শব্দ প্রত্যয় বা তদ্ধিত প্রত্যয়  উদাহরণ— √কৃ (ধাতু) + তব্য (কৃৎ প্রত্যয়) = কর্তব্য (শব্দ)  ধাতু কথাটি … Read more

ব্যাকরণ : বাংলা একাডেমি প্রমিত বাংলা বানানের নিয়ম

বাংলা একাডেমি প্রমিত বাংলা বানানের নিয়ম পর্ব — ৩  ৯. ও বাংলায় অ–কারের উচ্চারণ বহুক্ষেত্রে ও–কার হয়। এ উচ্চারণকে লিখিত রূপ দেওয়ার জন্যে ক্রিয়াপদের বেশ কয়েকটি রূপের এবং কিছু বিশেষণ ও অব্যয় পদের শেষে, কখনও আদিতে অনেকে যথেচ্ছভাবে ও–কার ব্যবহার করেছেন। যেমন— ছিলো, করলো, বলতো, কোরছো, হোলে, যেনো, কেনো (কী জন্যে) ইত্যাদি ও–কার যুক্ত বানান … Read more

ব্যাকরণ : বাংলা একাডেমি প্রণীত বাংলা বানানের নিয়ম

বাংলা একাডেমি প্রণীত বাংলা বানানের নিয়ম পর্ব — ৪ বিবিধ  ১. যুক্ত–ব্যঞ্জনবর্ণের যতদূর সম্ভব স্বচ্ছ করতে হবে অর্থাৎ পুরাতন রূপ বাদ দিয়ে এগুলোর স্পষ্ট রূপ দিতে হবে। তার জন্যে কতগুলো স্বরচিহ্নকে বর্ণের নিচে বসাতে হবে। যেমন— গু, রু, রূ, শু, ব্রু, ভ্রু, হৃ, ত্র, ভ্র। তবে ক্ষ–এর পরিচিত যুক্ত রূপ অপরিবর্তিত থাকবে। যেমন— অক্ষর, অক্ষয়, … Read more

ব্যাকরণ : সরকারি কাজে প্রমিত বাংলা ব্যবহারের নিয়ম

সরকারি কাজে প্রমিত বাংলা ব্যবহারের নিয়ম পর্ব – ৯  –সহ, –সমেত, –যুদ্ধ ‘সহিত’ অর্থে ‘–সহ’, ‘–সমেত’ এবং ‘–যুদ্ধ’ সবসময় সংশ্লিষ্ট শব্দের পরে যুক্তভাবে বসে। যেমন : ‘বইসহ পড়তে এসো’, ‘গ্রামসুদ্ধ লোক এসেছে’, ‘বাজারসমেত ব্যাগটা দাও’ ইত্যাদি। ‘সহ্য করা’ অর্থেও ‘সহ’ শব্দের শেষে যুক্তভাবে বসে। যেমন : দুঃসহ, সর্বংসহা ইত্যাদি।  সহকারী, উপ–, যুগ্ম, অতিরিক্ত উপরের চারটি … Read more

ব্যাকরণ : যতি বা ছেদচিহ্ন

যতি বা ছেদচিহ্ন যতি বা ছেদ চিহৃ : বাক্যের অর্থ সুস্পষ্টভাবে বোঝার জন্য বাক্যের মধ্যে বা বাক্যের শেষে কিংবা আবেগ (হর্ষ, বিষাদ), জিজ্ঞাসা ইত্যাদি প্রকাশ করার জন্য বাক্য গঠনে যেভাবে বিরতি দিতে হয় এবং লেখার সময় তা দেখানোর জন্য যেসব সাংকেতিক চিহ্ন ব্যবহার করা হয়, তাকে যতি বা ছেদচিহ্ন বলে। প্রাচীন বাংলায় যতি বা ছেদ … Read more

ব্যাকরণ : যতি বা ছেদচিহ্নের ব্যবহার

যতি বা ছেদচিহ্নের ব্যবহার কমা { পাদচ্ছেদ ( , ) } (ক) বাক্য পাঠকালে সুস্পষ্টতা বা অর্থ – বিভাগ দেখানোর জন্য যেখানে স্বল্প বিরতির প্রয়োজন, সেখানে কমা ব্যবহৃত হয়। যেমন— সুখ চাও, সুখ পাবে পরিশ্রমে।  (খ) পরস্পর সম্বন্ধযুক্ত একাধিক বিশেষ্য বা বিশেষণ পদ একসাথে বসলে শেষ পদটি ছাড়া বাকি সবগুলোর পরেই কমা বসবে। যেমন— সুখ, … Read more

ব্যাকরণ : ধ্বনির পরিবর্তন

ধ্বনির পরিবর্তন ভাষা বহমান নদীর মতো। এই বহমানতা রক্ষিত হয় মৌখিকভাবে ধ্বনি পরিবর্তন এবং লেখার ক্ষেত্রে বিবর্তিত শব্দের মাধ্যমে। ১৮৭০ সালে বিশ্ব ধ্বনিবিজ্ঞানীরা একমত হয়ে বললেন যে, ভাষায় ধ্বনি পরিবর্তন একটি নিয়মিত ব্যাপার। কোনো ভাষার ধ্বনি পরিবর্তন স্বাভাবিকভাবে বন্ধ হয়ে গেলে তা মৃত ভাষায় পরিণত হবে এবং অতি পরিবর্তন হলে সে ভাষ তার নিজস্ব বৈশিষ্ট্য … Read more

ব্যাকরণ : সমাস

সমাস সমাস মানে সংক্ষেপ, মিলন, একাধিক পদের একপদীকরণ। অর্থসমন্ধ আছে এমন একাধিক শব্দের এক সঙ্গে যুক্ত হয়ে একটি নতুন শব্দ গঠনের প্রক্রিয়াকে সমাস বলে। যেমন:দেশের সেবা — দেশসেবাবই ও পুস্তক — বইপুস্তকনেই পরোয়া যার — বেপরোয়া বাক্যে শব্দের ব্যবহার সংক্ষেপ করার উদ্দেশ্য নিয়ে মূলত সমাসের সৃষ্টি হয়েছে। সমাস দ্বারা দুই বা ততোধিক শব্দের সমন্বয়ে নতুন … Read more

ব্যাকরণ : দ্বন্দ্ব সমাস

দ্বন্দ্ব সমাস যে সমাসে প্রত্যেকটি সমস্যমান পদের অর্থের সমান প্রাধান্য থাকে, তাকে দ্বন্দ্ব সমাস বলে। যেমন: তাল ও তমাল = তাল–তমাল দোয়াত ও কলম = দোয়াতকলম মাতা ও পিতা = মাতাপিতা এখানে তাল ও তমাল তবং দোয়াত ও কলম প্রতিটি পদেরই অর্থের প্রাধান্য সমস্ত পদে রক্ষিত হয়েছে।দ্বন্দ্ব সমাসে পূর্বপদ ও পরপদের সম্বন্ধ বোঝানোর জন্যে ব্যাসবাক্যে … Read more

ব্যাকরণ : কর্মধারয় সমাস

কর্মধারয় সমাস যেখানে বিশেষণ বা বিশেষণভাবাপন্ন পদের সাথে বিশেষ্য বা বিশেষ্যভাবাপন্ন পদের সমাস হয় এবং পরপদের অর্থই প্রধানরূপে প্রতীয়মান হয়, তাকে কর্মধারয় সমাস বলে। যেমন: নীল যে পদ্ম – নীলপদ্ম শান্ত অথচ শিষ্ট – শান্তশিষ্ট কাঁচা অথচ মিঠা – কাঁচামিঠা কর্মধারয় সমাস কয়েক প্রকারে সাধিত হয়। যথা: ১। দুটি বিশেষণ পদে একটি বিশেষ্যকে বোঝালে। যেমন: … Read more