১. বাংলা সাহিত্যের প্রথম ইতিহাস গ্রন্থ কে রচনা করেন?
[ক] সুকুমার সেন
✅ দীনেশচন্দ্র সেন
[গ] মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
[ঘ] অসিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়
উত্তর বিশ্লেষণ:
দীনেশচন্দ্র সেন (১৮৬৬-১৯৩৯ খ্রি)
🔶 বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও গবেষক দীনেশচন্দ্র সেন ১৮৯৬ সালে রচনা করেন- প্রাচীন ও মধ্যুগের বাংলা সাহিত্যের সুশৃংখল ও তথ্যসমৃদ্ধ ধারাবাহিক ইতিমূলক ‘বঙ্গভাষা ও সাহিত্য’ নামক গ্রন্থটি।
🔶 আবেগময়, প্রাঞ্জল ও কাব্যমন্ডিত ভাষায় লিখিত বাংলা সাহিত্যের প্রথম যথার্থ ইতিহাস গ্রন্থ হিসেবে স্বীকৃত- ‘বঙ্গভাষা ও সাহিত্য’ বাংলা সাহিত্যের এক অমূল্য সম্পদ।
🔶 তিনি এটি রচনা করেন- পল্লী অঞ্চলে ঘুরে ঘুরে সংগৃহীত প্রাচীন বাংলা পুঁথি থেকে উপকরণ গ্রহণ করে।
সুকুমার সেন
🔶 ড. সুকুমার সেন রচিত ইতিহাস বিষয়ক গ্রন্থ- ‘বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস’ (১৯৪০)।
🔶 প্রখ্যাত ভাষাতত্তববিদ ও বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসকার- সুকুমার সেন।
🔶 সুকুমার সেন সম্পাদিত গ্রন্থগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য- সেখশুভোদয়া, বাঙলা ভাষার ইতিবৃত্ত, চর্যাগীতি পদাবলী, চৈতন্যচরিতামৃত প্রভৃতি।
মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
🔶 ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ রচিত ইতিহাস বিষয়ক গ্রন্থ- ‘বাংলা ভাষার ইতিবৃত্ত’ (১৯৫৯)।
অসিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়
🔶 অসিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত ইতিহাস বিষয়ক গ্রন্থ- ‘বাংলা সাহিত্যের ইতিবৃত্ত’ (১ম খন্ড-১৯৫৯)।
২. ‘বঙ্গদর্শন’ পত্রিকার প্রথম সম্পাদক কে ছিলেন?
[ক] প্যারীচাঁদ মিত্র
✅ বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
[গ] রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
[ঘ] প্রমথ চৌধুরী
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 বাংলা উপন্যাস সাহিত্যের স্থপতি বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৮৩৮-১৮৯৪ খ্রি) প্রথম ‘বঙ্গদর্শন’ পত্রিকাটি প্রকাশ করেন- ১৮৭২ সালে এবং তিনিই এ পত্রিকার প্রথম সম্পাদক।
🔶 ১৮৭২ সালে এটি প্রথম প্রকাশিত হয়ে মাত্র ৪ বছর প্রকাশিত হয়- ১৮৭৬ পর্যন্ত।
🔶 স্বল্প সময়ের জন্য পত্রিকাটি সম্পাদনা করেছিলেন- বঙ্কিমচন্দ্রের পর তার ভাই সঞ্জীবচন্দ্র ও শ্রীশচন্দ্র।
🔶 বঙ্কিমচন্দ্র সম্পর্কে জানতে ৩০তম বিসিএস (BCS)-এর ৩নং প্রশ্ন বিশ্লেষণ দেখুন।
৩. কোন কবিতা রচনার জন্য কাজী নজরুল ইসলামের ‘অগ্নিবীণা’ কাব্য নিষিদ্ধ হয়?
[ক] বিদ্রোহী
[খ] আনন্দময়ীর আগমনে
[গ] প্রলয়োল্লাস
✅ রক্তাম্বরধারিণী মা
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
রক্তাম্বরধারিণী মা
🔶 ব্রিটিশ সরকার অগ্নিবীণা কাব্যকে নিষিদ্ধ করে-‘রক্তাম্বরধারিণী মা’ কবিতাটিতে তৎকালীন রাজনৈতিক চেতনা প্রাধান্য পাওয়ায়।
🔶 ‘রক্তাম্বরধারিণী মা’ কবিতাটি প্রথম ধূমকেতু পত্রিকায় প্রকাশিত হয়- ১৩২৯ বঙ্গাব্দের ভাদ্র মাসে।
🔶 বিদ্রোহী কবি নজরুল ইসলামের ‘প্রলয়োল্লাস’, ‘বিদ্রোহী’ ও ‘রক্তাম্বরধারিণী মা’ কবিতা তিনটি অন্তর্ভুক্ত- বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ ‘অগ্নিবীণা’তে-।
🔶 কাজী নজরুল সম্পর্কে জানতে ২৭তম বিসিএস (BCS)-এর ১নং প্রশ্ন বিশ্লেষণ দেখুন।
🔷বিগত ১০ম বিসিএস (BCS) পরীক্ষায় এই সংক্রান্ত প্রশ্ন এসেছে।
৪. ‘মৃন্ময়ী’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কোন ছোটগল্পের নায়িকা?
✅ সমাপ্তি
[খ] দেনা-পাওনা
[গ] পোস্ট-মাস্টার
[ঘ] মধ্যবর্তিনী
উত্তর বিশ্লেষণ:
সমাপ্তি
🔶 রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘সমাপ্তি’ ছোটগল্পের নায়িকা-‘মৃন্ময়ী’ এবং নায়ক ‘অপূর্বকৃষ্ণ’।
দেনা-পাওনা
🔶 ‘দেনাপাওনা’ ছোটগল্পের নায়িকা- ‘নিরু’।
পোস্ট-মাস্টার
🔶 ‘পোস্টমাস্টার’ গল্পের বালিকা চরিত্র- ‘রতন’।
মধ্যবর্তিনী
🔶 ‘মধ্যবর্তিনী’ গল্পের নায়িকা- ‘হরসুন্দরী’ ও ‘শৈলবালা’ এবং নায়ক ‘নিবারণ’।
৫. ‘উত্তম পুরষ’ উপন্যাসের রচয়িতা কে?
[ক] শওকত ওসমান
[খ] জহির রায়হান
[গ] শহীদুল্লাহ কায়সার
✅ রশীদ করিম
উত্তর বিশ্লেষণ:
রশীদ করিম
🔶 রশীদ করিমের একটি অন্যতম উপন্যাস- ‘উত্তম পুরুষ’।
🔶 ১৯৬১ সালে প্রকাশিত এ উপন্যাসটি রচিত- নগরজীবনের বৈশিষ্ট্য অবলম্বনে।
🔶 তার অন্যান্য উল্লেখযোগ্য উপন্যাসের মধ্যে রয়েছে- ‘প্রসন্ন পাষাণ’ (১৯৬৩), ‘আমার যত গ্লানি’ (১৯৭৩), ‘মায়ের কাছে যাচ্ছি’ ইত্যাদি।
শওকত ওসমান
🔶 শওকত ওসমান রচিত উল্লেখযোগ্য উপন্যাস- ‘সজনী’ (১৯৬৮), ‘ক্রীতদাসের হাসি’ (১৯৬২), ‘জাহান্নাম হতে বিদায়’ (১৯৭১) ইত্যাদি।
জহির রায়হান
🔶 জহির রায়হান রচিত উল্লেখযোগ্য উপন্যাস- ‘হাজার বছর ধরে’ (১৩৭১), ‘আরেক ফাল্গুন’ (১৩৭৫), ‘বরফ গলা নদী’ (১৩৭৫) ইত্যাদি।
শহীদুল্লাহ কায়সার
🔶 শহীদুল্লাহ কায়সার রচিত উল্লেখযোগ্য উপন্যাস-‘সারেং বউ’ (১৯৬২) ও ‘সংশপ্তক’ (১৯৬৫)।
৬. ‘কাশবনের কন্যা’ কোন জাতীয় রচনা?
[ক] নাটক
✅ উপন্যাস
[গ] কাব্য
[ঘ] ছোটগল্প
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 ঔপন্যাসিক শামসুদ্দীন আবুল কালাম রচিত অন্যতম উপন্যাস- ‘কাশবনের কন্যা’।
🔶 উপন্যাসটির উপজীব্য- জেলে সম্প্রদায়ের জীবনধারণ।
🔶 ১৯৫৪ সালে প্রকাশিত (গ্রন্থাকারে) উপন্যাসটিতে অত্যন্ত সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে- বরিশাল অঞ্চলের মুখের ভাষা ও জীবনবোধ।
🔷বিগত ২৪তম বিসিএস (BCS) পরীক্ষায় এই সংক্রান্ত প্রশ্ন এসেছে।
৭. কোনটি মুহম্মদ এনামুল হকের রচনা?
[ক] ভাষার ইতিবৃত্ত
[খ] আধুনিক ভাষাতত্তব
✅ মনীষা মঞ্জুষা
[ঘ] বাংলাদেশের আঞ্চলিক ভাষার অভিধান
উত্তর বিশ্লেষণ:
মনীষা মঞ্জুষা
🔶 বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও গবেষক মুহম্মদ এনামুল হক (১৯০৬-১৯৮২) রচিত সংকলন গ্রন্থ- ‘মনীষা মঞ্জুষা’।
🔶 দুই খন্ডের এ গ্রন্থের প্রথম খন্ড প্রকাশিত হয়- ১৯৭৫ সালে এবং দ্বিতীয় খন্ড ১৯৭৬ সালে।
আধুনিক ভাষাতত্ত
🔶 ‘আধুনিক ভাষাতত্তব’ গবেষণা গ্রন্থটি রচনা করেন- আবুল কালাম মনজুর মোরশেদ।
বাংলাদেশের আঞ্চলিক ভাষার অভিধান
🔶 ‘বাংলাদেশের আঞ্চলিক ভাষার অভিধান’ গ্রন্থটি সম্পাদনা করেন- ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ।
৮. বাংলা সাহিত্যের সনেট রচনার প্রবর্তক কে?
✅ মাইকেল মধুসূদন দত্ত
[খ] রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
[গ] দেবেন্দ্রনাথ সেন
[ঘ] মোহিতলাল মজুমদার
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 বাংলা সাহিত্যের সনেট রচনার প্রবর্তক- মাইকেল মধুসূদন দত্ত।
🔶 ইংরেজি ‘সনেট’ শব্দটির বাংলা অর্থ- চতুর্দশপদী কবিতা।
🔶 সনেটে লাইন বা পঙ্ক্তি থাকে- ১৪টি এবং প্রতিটি লাইন বা পঙ্ক্তিতে ১৪টি অক্ষর থাকে।
🔷বিগত ২৯তম বিসিএস (BCS) পরীক্ষায় এই সংক্রান্ত প্রশ্ন এসেছে।
৯. জসীমউদ্দীনের ‘কবর’ কবিতা কোন পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয়?
[ক] তত্তববোধিনী পত্রিকা
[খ] ধূমকেতু
✅ কল্লোল
[ঘ] কালি ও কলম
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 পল্লীকবি জসীমউদ্দীনের (১৯০৩-১৯৭৬ খ্রি) বিখ্যাত কবিতা ‘কবর’ প্রথম প্রকাশিত হয়- ‘কল্লোল’ পত্রিকার ১৩৩২ বঙ্গাব্দের শ্রাবণ সংখ্যায়।
🔶 কবিতাটি অন্তর্ভুক্ত- তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘রাখালী’ (১৯২৭) তে।
🔶 তিনি এ কবিতাটি রচনা করেছিলেন- যখন দশম শ্রেণীর ছাত্র ছিলেন।
১০. ‘ক্ষীয়মাণ’-এর বিপরীত শব্দ কি?
[ক] বৃহৎ
[খ] বর্ধিষ্ণু
✅ বর্ধমান
[ঘ] বৃদ্ধিপ্রাপ্ত
উত্তর বিশ্লেষণ:
বর্ধমান
🔶 ক্ষীয়মান’-এর বিপরীতার্থক শব্দ- বর্ধমান।
🔶 ‘ক্ষীয়মান’ শব্দটি বিশেষ্য পদ, যার অর্থ- ক্ষয়প্রাপ্ত হচ্ছে এমন।
বৃহৎ
🔶 ‘বৃহৎ’ শব্দটির বিপরীতার্থক শব্দ- ক্ষুদ্র।
বর্ধিষ্ণু
🔶 বর্ধিষ্ণু’ শব্দটির বিপরীতার্থক শব্দ- ক্ষয়িষ্ণু বা হ্রাসপ্রাপ্ত।
বৃদ্ধিপ্রাপ্ত
🔶 বৃদ্ধিপ্রাপ্ত’ শব্দটির বিপরীতার্থক শব্দ- হ্রাসপ্রাপ্ত।
১১. ‘নষ্ট হওয়ার স্বভাব যার’ এক কথায় হবে-
[ক] নিদাঘ
✅ নশ্বর
[গ] নষ্টমান
[ঘ] বিনশ্বর
উত্তর বিশ্লেষণ:
নশ্বর
🔶 ‘নষ্ট হওয়ার স্বভাব যার’-এর এককথায় প্রকাশ- নশ্বর।
🔶 নশ্বর-এর অপর অর্থ- নাশশীল, অনিত্য বা অস্থায়ী।
নিদাঘ
🔶 নিদাঘ অর্থ- গ্রীষ্মকাল বা উত্তাপ।
নষ্টমান
🔶 নষ্টমান অর্থ- নষ্ট হয়ে যাচ্ছে যা।
বিনশ্বর
🔶 বিনশ্বর অর্থ- বিনাশধর্মী বা অনিত্য।
১২. যে সমাসের পূর্বপদ সংখ্যাবাচক এবং সমস্তপদের দ্বারা সমাহার বোঝায় তাকে বলে-
[ক] দ্বন্দ্ব সমাস
[খ] রূপক সমাস
[গ] বহুব্রীহি সমাস
✅ দ্বিগু সমাস
উত্তর বিশ্লেষণ:
দ্বিগু সমাস
🔶 যে সমাসে সমাহার অর্থাৎ সমষ্টি অর্থে সংখ্যাবাচক পূর্বপদের সাথে উত্তরপদের সমাস হয় এবং উত্তরপদের অর্থ প্রধানরূপে প্রতীযমান হয় তাকে বলে- দ্বিগু সমাস। যেমন- সে (তিন) তারের সমাহার = সেতার।
দ্বন্দ্ব সমাস
🔶 যে সমাসে সমান বিভক্তিবিশিষ্ট দুই বা ততোধিক পদ মিলিত হয়ে এক পদে পরিণত হয় এবং সমস্যমান প্রত্যেকটি পদের অর্থ সমভাবে প্রধানথেকে যায় তাকে বলে- দ্বন্দ্ব সমাস। যেমন- মা ও বাবা = মা-বাবা।
রূপক সমাস
🔶 উপমান ও উপমেয়র মধ্যে অভেদ কল্পনা করে পূর্বপদ উপমেয়র সাথে পরপদ উপমানের যে সমাস হয় তাকে বলে- রূপক কর্মধারয় সমাস। যেমন- বিদ্যা রূপ ধন = বিদ্যাধন।
বহুব্রীহি সমাস
🔶 যে সমাসে পূর্বপদ বা উত্তরপদের কোনোটিরই অর্থ বোঝায় না এবং সমস্তপদটি অন্য একটি পদের অর্থ নির্দেশ করে তাকে বলে- বহুব্রীহি সমাস। যেমন- আশীতে বিষ যার = আশীবিষ (সর্প)।
১৩. কোন বাক্যটি শুদ্ধ?
[ক] তাহার জীবন সংশয়পূর্ণ
[খ] তাহার জীবন সংশয়ময়
✅ তাহার জীবন সংশয়াপূর্ণ
[ঘ] তাহার জীবন সংশয়ভরা
উত্তর বিশ্লেষণ:
🔶 ‘সংশয়’ শব্দটি একটি বিশেষ্য পদ, যার বিশেষণ হলো- ‘সংশয়াপূর্ণ’।
🔶 সংশয়াপূর্ণ শব্দটির অর্থ- সন্দেহপূর্ণ বা দ্বিধাপূর্ণ।
🔶 উপরিউক্ত বাক্যে ‘তাহার জীবন সংশয়াপূর্ণ’ দ্বারা প্রকাশ করা হয়েছে-গভীর অনিশ্চয়তা।
১৪. ‘চাঁদমুখ’-এর ব্যাসবাক্য হলো-
[ক] চাঁদমুখের ন্যায়
✅ চাঁদের মত মুখ
[গ] চাঁদ মুখ যার
[ঘ] চাঁদরূপ মুখ
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 ‘চাঁদমুখ’ শব্দটি একটি বিশ্লেষণ পদ, যার ব্যাসবাক্য হলো- চাঁদের মতো মুখ বা চন্দ্রের ন্যায় সুন্দর মুখবিশিষ্ট।
🔶 এটি অন্তর্গত- উপমান কর্মধারয় সমাসের।
১৫. ‘সর্বাঙ্গে ব্যথা, ঔষধ দিব কোথা’-এই বাক্যে ‘ঔষধ’ শব্দ কোন কারকে কোন বিভক্তির উদাহরণ?
✅ কর্ম কারকে শূন্য
[খ] সম্প্রদানে সপ্তমী
[গ] অধিকরণে শূন্য
[ঘ] কর্তৃকারকে শূন্য
উত্তর বিশ্লেষণ:
কর্ম কারকে শূন্য
🔶 কর্তা যা করে বা যাকে আশ্রয় করে ক্রিয়া সম্পন্ন হয় তাকে বলে- কর্মকারক। যেমন- তুমি বই পড়; এখানে ‘বই’ কর্মকারক।
🔶 সুতরাং প্রশ্নে ‘ঔষধ’ কর্মকে কেন্দ্র করে ক্রিয়াটি সম্পন্ন হওয়ায় ‘ঔষধ’ শব্দটি- কর্মকারক (শূন্য বিভক্তি)।
সম্প্রদানে সপ্তমী
🔶 যাকে স্বতব ত্যাগ করে কিছু দান করা হয় তাকে বলে- সম্প্রদান কারক। যেমন- দরিদ্রকে ধন দাও।
অধিকরণে শূন্য
🔶 ক্রিয়ার সময়, বিষয় ও স্থানকে বলে- অধিকরণ কারক। যেমন- প্রভাতে সূর্য উদিত হয়।
কর্তৃকারকে শূন্য
🔶 যে বিশেষ্য বা সর্বনাম পদ ক্রিয়া সম্পাদন করে তাকে বলে- কর্তা বা কর্তৃকারক। যেমন- শিশুরা খেলা করছে।
[ক] সরল
✅ জটিল
[গ] যৌগিক
[ঘ] অনুজ্ঞামূলক
উত্তর বিশ্লেষণ:
জটিল
🔶 উপরোক্ত বাক্যে ‘সুতরাং তুমি প্রথম হবে’ অংশটি প্রধান খন্ড বাক্য এবং ‘যেহেতু তুমি বেশি নম্বর পেয়েছ’ অংশটি অপ্রধান বা অধীন খন্ডবাক্য হওয়ায় এটা- জটিল বাক্য।
🔶 গঠনগত দিক থেকে বাক্য তিন প্রকার- সরল বাক্য, মিশ্র বা জটিল বাক্য এবং যৌগিক বাক্য।
🔶 যে বাক্যে একটি প্রধান খন্ড বাক্য এবং এক বা একাধিক অপ্রধান বা অধীন খন্ড বাক্য থাকে তাকে বলে- মিশ্র বা জটিল বাক্য। যেমন- যে সত্য কথা বলে, তাকে সবাই ভালোবাসে।
সরল
🔶 যে বাক্যে একটিমাত্র কর্তা এবং একটিমাত্র সমাপিকা ক্রিয়া থাকে, তাকে বলে- সরল বাক্য। যেমন- রহিম খেলা করছে।
যৌগিক
🔶 দুই বা ততোধিক সরল বাক্যের সংমিশ্রণে যে বাক্য গঠিত হয় তাকে বলে- যৌগিক বাক্য। যেমন- লোকটি গরিব, কিন্তু সৎ।
অনুজ্ঞামূলক
🔶 অর্থগত দিক থেকে বাক্য প্রধানত পাঁচ প্রকার- নির্দেশক বাক্য, অনুজ্ঞাসূচক বাক্য, প্রশ্নসূচক বাক্য, কামনামূলক বা ইচ্ছামূলক বাক্য ও বিস্ময়সূচক বাক্য।
🔶 যে বাক্য দ্বারা আদেশ, নিষেধ, অনুরোধ ও উপদেশ বোঝানো হয় তাকে বলে- অনুজ্ঞাসূচক বাক্য। যেমন- নিয়মিত পড়াশুনা করবে।
১৭. ‘সন্ধ্যারাগে ঝিলিমিলি ঝিলমের স্রোতখানি বাঁকা’ রবীন্দ্রনাথের কোন কাব্যের কবিতা?
✅ বলাকা
[খ] সোনারতরী
[গ] চিত্রা
[ঘ] পুনশ্চ
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের (১৮৬১-১৮৪১ খ্রি) ‘বলাকা’ কাব্যগ্রন্থের ‘বলাকা’ নামক কবিতার প্রথম পংক্তি- ‘সন্ধ্যারাগে ঝিলিমিলি ঝিলমের স্রোতখানি বাঁকা’।
🔶 কবি শ্রীনগরে থাকাকালীন সময়ে এ কবিতাটি রচনা করেন- ১৩২২ বঙ্গাব্দের কার্তিক মাসে।
🔶 বলাকা কাব্যগ্রন্থটি প্রকাশিত হয়- ১৯১৫ সালে।
🔶 উল্লেখ্য, এ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত অন্য কিছু কবিতা- সবুজের অভিযান, শংখ, ছবি, শা-জাহান, চঞ্চলা ইত্যাদি।
🔶 রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সম্পর্কে জানতে ৩০তম বিসিএস (BCS) এর ১০নং প্রশ্ন বিশ্লেষণ দেখুন।
১৮. বাংলা ছন্দ কত রকমের?
[ক] এক রকমের
[খ] দু রকমের
✅ তিন রকমের
[ঘ] চার রকমের
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 বাংলা ছন্দ তিন রকমের- ক. মাত্রাবৃত্ত খ. স্বরবৃত্ত ও গ. অক্ষরবৃত্ত।
🔶 বাংলা ছন্দ সম্পর্কে জানতে ৩০তম বিসিএস (BCS)-এর ১২নং প্রশ্ন বিশ্লেষণ দেখুন।
১৯. কোনটি শুদ্ধ বানান?
[ক] দন্দ
[খ] দ্বন্দ
✅ দ্বন্দ্ব
[ঘ] দ্বন্ব
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 ‘দ্বন্দ্ব’ শব্দটি একটি বিশেষ্য পদ, যার অর্থ- ঝগড়া, বিবাদ, যুদ্ধ ইত্যাদি। শব্দটির বিশ্লেষণকৃত রূপ হলো- দ্বি + দ্বি।
২০. ‘অমিত্রাক্ষর’ ছন্দের বৈশিষ্ট্য হলো-
[ক] অন্ত্যমিল আছে
✅ অন্ত্যমিল নেই
[গ] চরণের প্রথমে মিল থাকে
[ঘ] বিশ মাত্রার পর্ব থাকে
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক- মাইকেল মধুসূদন দত্ত।
🔶 মধ্যযুগীয় পয়ার ছন্দের যতি, পর্বগত সাম্য ও অন্ত্যমিলহীন ছন্দই হলো- অমিত্রাক্ষর ছন্দ।
🔶 ইংরেজিতে একে বলে- Blank verse।
🔶 এতে নেই- ভাবের গভীরতা এবং এতে থাকে ১৪ মাত্রার অন্ত্যমিলহীন চরণ।
🔶 মধুসূদনের অমিত্রাক্ষর ছন্দে রচিত প্রথম পূর্ণাঙ্গ কাব্য- ‘তিলোত্তমাসম্ভব’ কাব্য।
🔶 এছাড়া মধুসূদনের এই ছন্দে রচিত কাব্য- ‘বীরাঙ্গনা’ ও ‘মেঘনাদবধ কাব্য’।
🔶 তিনি প্রথম এই ছন্দের ব্যবহার করেন- তাঁর ‘পদ্মাবতী’ নাটকের ২য় অঙ্কের ২য় গর্ভাঙ্কে।