আজ ১১ ফেব্রুয়ারি মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা ২০২৩-২৪ এর ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। এ বছর এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় পাস করেছেন ৪৯ হাজার ৯২৩ জন শিক্ষার্থী। পাসের হার ৪৭ দশমিক ৮৩ শতাংশ। ভর্তি পরীক্ষায় ছেলেদের পাসের হার ৪০.৯৮% (২০ হাজার ৪৫৭) এবং মেয়েদের পাসের হার ৫৯.০২% (২৯ হাজার ৪৬৬)।
সরকারি মেডিকেল কলেজে সুযোগপ্রাপ্ত ছেলের সংখ্যা ২ হাজার ৩১২ জন (৪৩.০০%), মেয়ে ৩ হাজার ৬৮ জন (৫৭.০০%)।
এ বছর মেধাতালিকায় প্রথম স্থান অর্জন করেছেন তানজিম মুন্তাখা সর্বা। ভর্তি পরীক্ষায় তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৯২.৫।
এর আগে গত শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ঘণ্টাব্যাপী ১৯টি কেন্দ্রের ৪৪টি ভেন্যুতে একযোগে চলে পরীক্ষা। এবার সরকারি বেসরকারি মিলিয়ে ১০৪টি মেডিকেল কলেজের ১১ হাজার ৬৭৫টি আসনের জন্য এবার ১ লাখ ৪ হাজার ৩৭৪ জন ভর্তিচ্ছু আবেদন করেন।
এবারের লিখিত ভর্তি পরীক্ষায় ১০০টি প্রশ্নের প্রতিটি ১ নম্বর করে মোট (এইচএসসি বা সমমান সিলেবাস অনুযায়ী) ১০০ নম্বরের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। লিখিত পরীক্ষার প্রতিটি ভুল উত্তর প্রদানের জন্য শূন্য দশমিক ২৫ নম্বর কাটা যাবে। লিখিত পরীক্ষায় ৪০ নম্বরের কম পেলে অকৃতকার্য হিসেবে বিবেচনা করা হবে। ভর্তি পরীক্ষায় ৪০ নম্বরের কম পেলে কোনো শিক্ষার্থী ভর্তির যোগ্য বিবেচিত হবেন না।
এছাড়া সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজে ভর্তি থাকা দ্বিতীয়বার ভর্তি-ইচ্ছুকদের ১০ নম্বর কাটা হয়েছে। এ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় জেলা কোটা বাতিল করা হয়। মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নির্ধারিত সময়ে আসন পূরণ করা না গেলে সেসব আসনে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ভর্তির সুযোগ পাবেন।
অনেকেই মেডিকেল কলেজে ভর্তি হতে দ্বিতীয়বার পরীক্ষা দেন। পরবর্তী সময় ভালো কোথাও ভর্তির সুযোগ পেলে আগের আসনটি ফাঁকা হয়ে যায়। এতে সরকারের অর্থ অপচয় হয়। এ বিষয়ে কঠোরতার জন্য মেডিকেল ও ডেন্টালে ভর্তি থাকা দ্বিতীয়বার ভর্তি-ইচ্ছুকদের ১৫ নম্বর কাটা নিয়ে আলোচনা হয়। পরে সবার পরামর্শে ১০ নম্বর কাটার সিদ্ধান্ত হয়েছে। দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষায় নিরুৎসাহিত করতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তবে সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজে ভর্তি নেই, এমন শিক্ষার্থীদের দ্বিতীয়বার ভর্তিচ্ছুদের জন্য আগের মতো ৫ নম্বর কাটার সিদ্ধান্ত বহাল আছে। জানা গেছে, মেডিকেলের মোট আসনের ২০ শতাংশ বরাদ্দ থাকে জেলা কোটায় আবেদন করা শিক্ষার্থীদের জন্য। ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে এ সুযোগ পাচ্ছেন না শিক্ষার্থীরা।
ফলাফল যেভাবে জানবেন
ফলাফল প্রকাশের পর
ওয়েবসাইটের মাধ্যমে জানা যাবে।
এ ছাড়া স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটেও ফলাফল বিষয়ক তথ্য প্রকাশ করা হবে।
পাশাপাশি এসএমএসের মাধ্যমে ফলাফল জানা যাবে। আবেদন করার সময় দেয়া মোবাইল ফোন নম্বরে ফলাফল পাওয়া যাবে।
অথবা
আমাদের ওয়েবসাইট থেকে সরাসরি PDF ফাইল ডাউনলোড করতে পারবেন।
(সবচেয়ে আগে সকল তথ্য,গুরুত্বপূর্ণ সকল পিডিএফ, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদেরGoogle News,FacebookএবংTelegram পেজ)