বন্যেরা বনে সুন্দর; শিশুরা মাতৃক্রোড়ে
সৃষ্টিজগতে সবকিছুই নিজ নিজ পরিবেশ ও পারিপার্শ্বিকতায় স্বাভাবিক সৌন্দর্যে অনুপমতা পায়। পরিবেশের সঙ্গে থাকে তার স্বাভাবিক ও স্বচ্ছন্দ সম্পর্ক। পরিবেশগত বৈশিষ্ট্যের অনুষঙ্গেই বিকশিত হয় তার স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য। পরিবেশ-বিচ্ছিন্ন হলে তার সে স্বাভাবিক সৌন্দর্য ম্লান হয়ে হয়ে যায়।
এই ভাবসম্প্রসারণটি অন্য বই থেকেও সংগ্রহ করে দেয়া হলো
মূলভাব : স্ব-স্ব পরিবেশ পরিমণ্ডলে সকল জিনিসই সুন্দর দেখায়।
সম্প্রসারিত ভাব : সর্ব শক্তিমান আল্লাহ পরিবেশ অনুযায়ী জীব সৃষ্টি করেছেন। বনে প্রাণী থাকে; সমুদ্রের তলদেশেও প্রাণী থাকে; থাকে মরুভূমিতে এবং হিমশীতল তুষার অঞ্চলেও। যার যেখানে সৃষ্টি-তাকে সেখানেই সুন্দর দেখায়। বনের পাখীতে খাঁচায় পুষলে তার জীবনে বিঘ্ন ঘটে। মরুভূমির উট কাদায় চলতে পারেনা।
সেরূপ শিশুর নিরাপদ আশ্রয় মায়ের কোল। ফূলকে বৃন্তচ্যুত করে নানাভাবে সাজালেও যেমন ফুল তার পূর্ব সুষমা ফিরে পায়না তেমনি শিশুকেও মায়ের কোল থেকে সরিয়ে নিলে তাকে অনেকটা বেমানান দেখায় এবং তার সুখের হাসি মলিন হয়ে যায়। মায়ের কোলে শিশুর সৌন্দর্যের যেমন তুলনা হয না, তেমনি বনে বন্যপ্রাণীর সৌন্দর্যেরও বর্ণনা করা যায় না। অতএব, যে পরিবেশে যার আবির্ভাব সে পরিবেশেই সে সুন্দর।
পৃথিবীর প্রতিটি বস্তু এবং প্রতিটি প্রাণীর জন্য একটি নির্দিষ্ট স্থান রয়েছে। সে যে পরিবেশে প্রতিপালিত হয়, তাকে সেখানেই সুন্দর দেখায়।