জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম
ভূমিকা : প্রখ্যাত সাহিত্যিক আবুল মনসুর আহমদের ভাষায় :
নজরুলের আবির্ভাবের আগে পর্যন্ত বাংলা সাহিত্যে মুসলিম – লেখকেরা ছিল কোণঠাসা , অপাঙক্তেয় , দুর্বল , অসন্তুষ্ট , defensive minority নজরুলের আবির্ভাব একদিনে করে তুললাে তাদের আত্মবিশ্বাসী অভিজাত ,aggressive minority “
বাংলা সাহিত্যের আকাশে ধূমকেতুর মতােই আবির্ভাব ঘটে কবি কাজী নজরুল ইসলামের । শুধু সাহিত্যাঙ্গনের মানুষকে নয় , তাঁর কবিতা , সাহিত্য অন্যায় – জুলুম , অবিচার ও কুশ্রীতার বিরুদ্ধে সংগ্রামে উত্তপ্ত হয়ে বাংলার মানুষের প্রাণকে দোলা দেয় নতুন এক সুরে , আলােকিত করে নতুন আলােকে । তার উদ্দীপনা জাগরণী কবিতামালা জাতির শিরায় সারী শক্তি দান করে । তিনি বাংলা সাহিত্য অঙ্গনে এক বিস্ময়কর নাম । ব্যক্তিগত জীবনে , দুখু মিয়া নামে পরিচিত এই মানুষটি নিজের নামের সাথে জড়িয়ে থাকা এই দুঃখ – দুর্দশার তাড়নাকে ত্যাগ করে সাহিত্যে , কবিতায় ছড়িয়ে দিয়েছেন দুঃখকে জয় করে সত্যকে সুন্দরকে জয় করে নেওয়ার বাণী । তাঁর কবিতাগুলাে ছিল চিরযৌবনের জয়ধ্বনি , স্বকীয় বৈশিষ্ট্যে তিনি ছিলেন সমুজ্জ্বল । তাঁর সাহিত্য রবীন্দ্র বলয় থেকে বেরিয়ে মানুষকে দিয়েছিল অন্য এক সুরের সন্ধান ।সেই সুরের ঝংকারে মানুষের মনকে প্লাবিত করতে গিয়ে তিনি কারাবরণ করেন বহুবার । কিন্তু তিনি থেমে বানান একবার । তারই ভাষায় বলতে গেলে , আমি সেই দিন হব শান্ত যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দন – রােল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না । অত্যাচারীর খড়গ কৃপাণ ভীম রণভূমে রণিবে না আর তাই তিনি আমাদের জাতীয় কবি । তিনি জাতির প্রাণকে শােষিত ধারায় উদ্ভাবিত করেছেন , বিদ্রোহের সুর দিয়েছেন বাঙালির প্রাণে , তাই একাধারে তিনি বিদ্রোহী কবি ।
পরিচয় , জন্ম ও জন্মস্থান : ১৮৯৯ খ্রিষ্টাব্দের ২৫ মে ( ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৩০৬ বঙ্গাব্দ ) পশ্চিম বাংলার আসানসােল মহকুমার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করে । তাঁর পিতা কাজী ফকির আহমেদ ও মাতা জাহেদা খাতুন । তাঁর পিতা ছিলেন মসজিদের ইমাম এবং মাজারের খাদেম ।
বাল্যকাল ও প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা : বাল্যকালে কাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন দুরন্ত , স্কুলের বাঁধাধরা নিয়ম তার ভালাে লাগত না । তাই প্রায়ই স্কুল পালাতেন । লেটোর দলের জন্য গান বাঁধা , গান গাওয়া আর হৈচৈ করে বেড়ানাে তার অভ্যাসে পরিণত হয়েছিল । কিন্তু ভালাে বই পেলে আগ্রহ সহকারে পড়তেন । বলতে গেলে লেটোর দলই তাঁর সাহিত্যে প্রথম হাতেখড়ি । তাছাড়া তিনি গ্রাম্য মক্তবেও পড়াশােনা করতেন । এজন্য পরবর্তী জীবনের বিভিন্ন রচনাবলিতে আরবি ও ফারসি ভাষার নিদর্শন পাওয়া যায় । ১৯১৬ সালে আসানসােলের পুলিশ ইনসপেক্টর কাজী রফিক উদ্দিন সাহেবের অনুগ্রহে নজরুল ময়মনসিংহ জেলার দরিরামপুর হাই স্কুলে ভর্তি ইলেন ।
বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে যােগদান : কর্মজীবনের শুরুতে কাজী নজরুল ইসলাম মক্তবে শিক্ষকতা করেন । একই সাথে হাজী পালােয়ানের কবরের সেবক এবং মসজিদের মুয়াজ্জিন ছিলেন । ১৯০৯-১৯১০ সালে লেটো গানের দলে যােগ দেন । ১৯১১-১৯১৪ সালে একজন খ্রিস্টান রেলওয়ে গার্ডের খানসামা এবং অবশেষে আসানসােলের বুটির দোকানে রুটি বানানাের কাজ নেন । ১৯১৭ সালের শেষদিকে সেনাবাহিনীতে যােগদান করেন । ১৯২০ সালের মার্চ – এপ্রিল পর্যন্ত প্রায় আড়াই বছর নজরুলের সামরিক জীবনের পরিধি । এই সময়ে তিনি সৈনিক থেকে ব্যাটেলিয়ন কোয়াটার মাস্টার হাবিলদার হয়েছিলেন ।
বিবাহ ও সন্তানঃ ১৯২১ সালে কুমিল্লায় সৈয়দা খাতুন ওরফে নার্গিস বেগমের সঙ্গে কবির বিবাহ সম্পন্ন হলেও তিনি তার সঙ্গে কখনাে একত্রে বাস করেননি । ১৯২৪ সালে ২৪ এপ্রিল কুমিল্লার গিরিবালা দেবীর কন্যা আশালতা সেনগুপ্তা ( ডাক নাম দুলি , বিবাহােত্তর নাম প্রমীলা ) এর সঙ্গে কলকাতায় বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন । ১৯২৬ সালে তাঁর প্রথম সন্তান বুলবুল জন্ম লাভ করেন । মাত্র ৪ বছর বয়সে ১৯৩০ সালে বসন্ত রােগে মারা যান । অন্য দুই পুত্র কাজী সব্যসাচী ইসলাম ও কাজী অনিরুদ্ধ ইসলাম ।
বাংলা সাহিত্যে নজরুল : ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদী শাসন ও শােষণ নিয়ন্ত্রিত বাংলার অসম্পূর্ণ পুনর্জাগরণে আহূত । সকল বাঙালি মধ্যবিত্ত শ্রেণির চেতনাস্রোত যখন অন্ধকার বৃত্তে আবর্তিত তখন বাংলা সাহিত্যে নজরুলের । | আগমন প্রমিথিউসের মতাে । তার অত্যুজ্জ্বল আবির্ভাবে বাংলা সাহিত্যের প্রাণে ও শরীরে সার করেছিল বিপুল । অকুণ্যের ঐশ্বর্য , বেগের আবেগ , গতির উচ্ছ্বাস ও কল্পনার উদ্দামতা । কাব্যজগতে তিনি ছিলেন অনন্য । তাই । আছে ‘ পুবের হাওয়া , সিন্ধু – হিন্দোলের মতাে প্রেমের কাব্য , আবার ঝিঙেফুল , সাত ভাই চম্পার মতাে । অগ্নিবীণা , বিষের বাঁশী , ভাঙার গান , সাম্যবাদী , সর্বহারা ইত্যাদি বিদ্রোহীমূলক কাব্যগ্রন্থ যেমন রয়েছে তেমনি । শশুতোষ কাব্যগ্রন্থ ; ঝড় , নতুন চাদ – এর মতাে জীবনীমূলক কাব্য । এইসব নানা প্রকার কাব্যগ্রন্থ মিলিয়ে । শ্রান্ত রয়েছে মােট ২২ টি কবিতাগ্রস্থ , ৩ টি কাব্যানুবাদ ও ২ টি কিশাের কাব্য । তিনি উপন্যাস রচনা করেছেন । এটি বাধনহারা , মৃত্যুক্ষুধা ও কুহেলিকা । গল্পগ্রন্থ ৩ টি ব্যথার দান , রিক্তের বেদন ও শিউলিমালা । তার নাট্যগ্রন্থ চারটি ঝিলিমিলি , আলেয়া , মধুমালা , পুতুলের বিয়ে । আর তার গান রয়েছে অসংখ্য যার প্রকৃত সংখ্যা । এখনাে নির্ণয় করা যায়নি । তিনি বাংলাদেশের রণসংগীতের রচয়িতা , বাংলা গজল গানের স্রষ্টা । বাংলা । 1 সাহিত্যে নজরুলের সবচেয়ে বড় অবদান এটাই যে তিনি মসিকে অসিতে পরিণত করেছিলেন । তাই তার অনেক । গ্রন্থ নিষিদ্ধ হয়েছে । তিনি থেমে যাননি । কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন বেশ কয়েকবার , তবু থামেনি তাঁর বিদ্রোহ , তাঁর সাহিত্য রচনা বাংলার মানুষকে , বাংলার সাহিত্যিকদেরকে বাঁচতে শিখিয়েছে নতুন করে শিখিয়েছে লড়াই করতে । তারই ভাষায় বলতে গেলে “ জাগাে অনশন বন্দী ওঠরে যত জগতের লাতি ভাগ্যহত । ”
নজরুল কাব্যে রােমান্টিকতা : কাজী নজরুল ইসলাম মূলত বিদ্রোহী কবি । কিন্তু প্রেম ও প্রকৃতি নিয়েও বিদ্রোহী কবি তাঁর স্বরলােক গড়ে তােলেন । রােমান্টিক শব্দ ও ছন্দের মাধুর্যরসে কবিতাকে আপ্লুত করেন । কবির বেশ কয়েকটি কাব্যে তাঁর প্রেমিক মন ও সৌন্দর্য ভাবনার পরিচয় মেলে । সিন্ধু – হিন্দোল কাব্যগ্রন্থের ‘ গােপন প্রিয়া কবিতায় কবির কণ্ঠে উচ্চারিত বাক্য হতেই পরিচয় পাওয়া যায় তার রােমান্টিক চেতনার “ বিদায় যেদিন নেবাে সেদিন নাই – বা পেলাম দান , মনে আমার করবে না ক – সেই তাে মনে স্থান । যে – দিন আমায় ভুলতে গিয়ে করবে মনে , সে দিন প্রিয়ে ভােলার মাঝে উঠব বেঁচে , সেই তাে আমার প্রাণ ! ” আবার , অনামিকা ‘ কবিতায় বলেন— “ তােমারে বন্দনা করি স্বপ্ন সহচরী রে আমার অনাগত প্রিয়া , আমার পাওয়ার বুকে না পাওয়ার তৃষ্ণা – জাগানিয়া ! আবার ‘ চক্রবাক ‘ এর ‘ বর্ষা বিদায় ‘ কবিতায় দেখতে পাই প্রকৃতিপ্রেম— ওগাে বাদলের পরী । যাবে কোন দূরে ঘাটে বাঁধা তব কেতকী পাতার তরী । এছাড়া বেলাশেষে , পুরের চাতক , পূজারিণী , কবি – বাণী , দোদুল দুলসহ আরাে অনেক রােমান্টিকতাপূর্ণ কবিতা রয়েছে নজরুলের । তাঁর কাব্যে প্রেমিকের বিচিত্র প্রণয়লীলা হৃদয় বিহারের অবশ্যম্ভাবী , স্বপ্ন – সাধ , প্রেম , সম্পর্কিত অস্থির মানসিকতার বিচিত্র হৃদয়লীলার সংমিশ্রণে রােমান্টিকতা পেয়েছে বিচিত্র আর স্বতন্ত্র এক ধারা ।
বিদ্রোহী কবি হিসেবে নজরুল : সমাজব্যবস্থায় বিরাজমান অন্যায় – অত্যাচার – শােষণ ও দারিদ্রের বিরুদ্ধে আজীবন সংগ্রামী বিদ্রোহী কবি নজরুল ইসলাম ঝড়ের মতাে বাংলা সাহিত্য অঙ্গনে আবির্ভূত হয়ে নতুন প্রাণের সঞ্জার করেছিলেন । মানবতার পক্ষে কথা বলতে গিয়ে তিনি বিদ্রোহী অভিধায় অভিহিত হয়েছেন । তিনি সংগ্রাম করেছিলেন অন্যায় অত্যাচারের বিরুদ্ধে অকল্যাণ ও অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে । দেশ – জাতির প্রতি মমত্ব ও বছরই সরকার কর্তৃক গ্রন্থটি নিষিদ্ধ করা হয় । শুধু এটিই নয় , তার কথায় বিদ্রোহের সুর ছিল বলেই বিয়ে বাঁশী , ভাঙার গান , প্রলয়শিখা , চন্দ্রবিন্দু , যুগবাণী গ্রন্থগুলাে নিষিদ্ধ হয় । কিন্তু এই সব থামাতে পারেনি তাঁর । লেখনি ? জেলে বসেও তিনি সাহিত্য রচনা করেন । বন্দনা – গান কবিতায় কবি তাঁর বিদ্রোহাত্মক ও ত্রিশ কোটি ভাই- গাহি বন্দনা – গীতিতারি । জাগরণমূলক ভাব প্রকাশ করেন এভাবে শিখরে যাদের উঠেছে বাজিয়া বীরের মুক্তি তরবারী / আমরা তাদেরি ত্রিশ কোটি ভাই- গাহি বন্দনা – গীতিতারি।বিদ্রোহের সুর আরাে খুঁজে পাই তার এই পঙক্তিতে
“ কারার ঐ লৌহকপাট ভেঙে ফেল কররে লােপাট রক্ত জমাট শিকল – পূজার পাষাণ বেদী । ”
তাঁর বিদ্রোহী কষ্ঠের দৃপ্ত উচ্চারণ— বল বীর বল উন্নত মম শির শির নেহারি আমারি নত শির , ওই শিখর হিমাদ্রির ”
নজরুলের কাব্যে নারীর অবস্থান : সাম্যবাদী কাব্যগ্রন্থের নারী কবিতায় কবি বলেছেন কোনাে কালে একা হয়নি কো জয়ী পুরুষের তরবারি , প্রেরণা দিয়াছে , শক্তি দিয়াছে বিজয় লক্ষ্মী নারী । নারীর প্রকৃত রূপকে প্রকৃত শক্তিকে উপলব্ধি করেছেন কবি কাজী নজরুল ইসলাম । তিনি নারীকে তার আপন শক্তিতে মহীয়ান দেখতে চেয়েছেন । তাই বলেছেন মাথার ঘােমটা ছিড়ে ফেল নারী , ভেঙে ফেল ও শিকল ! যে ঘােমটা তােমায় করিয়াছে ভীরু , ওড়াও সে আবরণ , দূর করে দাও দাসীর চিহ্ন , যেথা যত আভরণ । তাঁর কাব্যসুধা পান করলে নারী জাতি পরাধীন চেতনায় নতুন উন্মাদনা পাবে । আর সমগ্র বিশ্ব নারীকে দিতে | পরিবে প্রকৃত সম্মান কারণ , তিনি নারীর প্রকৃত শক্তি , প্রকৃত রূপ আর প্রকৃত অবদানকে উপলব্ধি করেছেন আর কীবে গানে প্রতিফলন ঘটিয়েছেন ।
অসাম্প্রদায়িক চেতনায় নজরুল ; কাণ্ডারী হুঁশিয়ার , পথের দিশা , হিন্দু – মুসলিম যুদ্ধসহ তিনি লিখেছেন নানা সাম্প্রদায়িকতা বিরােধী কবিতা । তাঁর কবিতার মূলমন্ত্রই যেখানে সাম্যতে নিহিত ছিল যেখানে বরাবরই তিনি হিন্দু – মুসলমানদের মধ্যে সম্প্রীতির মেলবন্ধন রচনা করতে চেয়েছেন । তাই তিনি লিখেছেন— হিন্দু না ওরা মুসলিম ? ওই জিজ্ঞাসে কোন জন ? কাণ্ডারী , বল ডুবিছে মানুষ , সন্তান মাের মার । তিনি যতটা অসাম্প্রদায়িক চেতনাসম্পন্ন ছিলেন , এরকম অসাম্প্রদায়িক চেতনা খুব কম মানুষের মাঝেই দেখা যায় । তাঁর এই চেতনাকে ধারণ করতে পারলে আমরা গড়ে তুলতে পারতাম এক সাম্যের পৃথিবী , উসাম্প্রদায়িক সমাজ ।
প্রিয় কবি হিসেবে নজরুল : কাজী নজরুল ইসলাম সাম্যের কবি , মানবতার কবি । তিনি বিশ্বমানবতার কবি । ইর কবিতা আমাদের শেখায় মানবতার মূলমন্ত্র , দেখায় সাম্যের পথ , শােনায় অগ্নিহারা সুর চেতনার কথা । তার কবিতা , গান সর্বোপরি সাহিত্য মানুষের মানবিক সত্তাকে সত্যের মুখােমুখি দাড় করায় , সুন্দরের পথ । শায় । তার এই সাহিত্যরস আস্বাদন করে অমৃত প্রাণের সাধ যেমন মেটে তেমনি মননে জেগে ওঠে নতুন । উতনার আলােকিত সূর্য । মাত্র অল্পকাল সাহিত্য রচনা করেছেন তিনি কিন্তু তার সাহিত্যের প্রভাব টিকে রয়েছে । যুগ , কালে কালে , তাঁর এই সত্যমন্ত্রকে অগ্রাহ্য করে যাওয়া এক কথায় অসম্ভব । তাই তিনি প্রিয় কবি , | বাংলা সাহিত্যের প্রাণ , বালির চেতনায় নতুন আলােকের সন্ধান ।
উপসংহার : কাজী নজরুল ইসলামের মতাে মহান ব্যক্তিত্বকে ফুটিয়ে তােলা অসম্ভব কাজ । কারণ , তিনি সাহিত্যে নিজের জীবনবােধ ও চেতনাকে ঢেলে গানে , সুরে রাঙিয়ে তুলেছেন তাঁর কথামালাগুলােকে , বাক্যগুলােকে । তার শব্দ , সুর , কথাকে অস্বীকার করে প্রকৃত বাঙালি হয়ে ওঠাও যেন অসম্ভব । কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য এই যে কবি কাজী নজরুল ইসলাম দীর্ঘ প্রায় চল্লিশ বছর বারুদ্ধ অবস্থায় ছিলেন , শেষপর্যন্ত ১৩৮৩ বাংলা সনের ১২ ই ভাদ্র , ১৯৭৬ সালের ২৯ – এ আগস্ট তিনি ঢাকায় ইন্তেকাল করেন । তাঁর কবর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদ এবং চারুকলা ইনস্টিটিউটের মাঝখানে অবস্থিত । কিন্তু মৃত্যুতে তিনি অমর , তার কীর্তিতে ও সাহিত্যে তিনি বেঁচে রয়েছেন আমাদের মাঝে জাতীয় কবি হিসেবে , বিদ্রোহী কবি হিসেবে ।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জীবনী
Jatiyo Kobi Kazi Nuzrul Islam Rochona
Tag: জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম রচনা – জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম | Jatiyo Kobi Kazi Nuzrul Islam, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জীবনী, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের অনুচ্ছেদ রচনা, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জীবনী রচনা
(সবচেয়ে আগে সকল তথ্য,গুরুত্বপূর্ণ সকল পিডিএফ, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদেরGoogle News,FacebookএবংTelegram পেজ)